লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
অসুখ-বিসুখ কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে অনেকেরই রক্তের প্রয়োজন হয়। গোটা বিশ্বে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে যারা পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিশুদ্ধ রক্ত সংগ্রহ করে অসুস্থদের কাজে লাগায়। রক্তদান আপনার ধারণার চেয়েও বেশি উপকারী।
রেড ক্রস সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাস থাকে। এ কারণে ৩ মাস আগের সঙ্গে বর্তমানের লোহিতকণিকা এক হবে না। এজন্য এটা ভাবা ঠিক নয় যে, রক্তদান করলেই শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেবে। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
১. শরীরে অতিরিক্ত আয়রন থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিমাসে পিরিয়ড হওয়ার কারণে নারীর হৃদরোগ তুলনামূলক কম হয়। এ কারণে পুরুষের প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর পর রক্তদানের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শরীরে আয়রনের পরিমাণ ঠিক থাকে।
২. এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রক্তদান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ রক্তদান করলে শরীরে প্রদাহের আশঙ্কা কমে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ে।
৩. নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভালভাবে কাজ করে। এতে আয়ুও বাড়ে।
৪. রক্তদান করলে পুরো শরীর উজ্জীবিত হয়। রক্তদানের পর শরীর নতুন লোহিতকণিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়।
৫. একবার রক্তদান করলে ৬৫০ ক্যালরি ঝরে যায়। এতে ওজনও কমে। একজন সুস্থ মানুষ ৫৬ দিন পর পর রক্ত দিতে পারেন। এতে শরীরে কোলেস্টোরলের পরিমাণও কমে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস