অনলাইন ডেস্কঃ
অন্যদিনের মতো পরিবারের সবার সঙ্গে শনিবার দিবাগত রাতে ঘুমিয়েছিলেন আবদুর রশীদ (৩৪)। কিন্তু ভোররাত ৪টার দিকে একদল লোক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় তাকে। এরপর স্বজনরা অনেক স্থানে খোঁজ করে ৫ ঘণ্টা পর কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহ খুঁজে পান।
নিহত রশীদ কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর হালিমাপাড়ার আবদুল মালেকের ছেলে।
রশীদের বড়বোন রশিদা বেগম জানিয়েছেন রোববার ভোর ৪টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ির নিজ বাড়ি থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আবদুর রশিদ মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে চেইন্দার পাড়ায় বাস করতেন। প্রতিদিনের মতো রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল সে। ভোর ৪টার দিকে ৭-৮ জনের একদল লোক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার ব্যাপারে খবর নেয়া হলেও তার সন্ধান কেউ দিতে পারেনি। ৫ ঘণ্টা পর পরিবারের লোকজন খবর পায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে আবদুর রশিদের মরদেহ। তার বুকে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আবদুর রশিদ ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তিনটি ইয়াবা মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি কয়েকবার জেলও খেটেছেন। তবে এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবেও পরিচয় ছিল তার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কে বা কারা সকালের দিকে একটি মরদেহ মর্গে ফেলে রেখে যায়। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার পর খোঁজ নিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে মরদেহটি পাহাড়তলীর আবদুর রশিদের। তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তবে তিনি কীভাবে লাশ হলেন তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এর আগে সকাল ১০টায় কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামান বলেছিলেন, একটা মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে জেনেছি, কিন্তু পরিচয় ও কীভাবে এল তা জানি না।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবদুর রশিদের মরদেহ আছে- স্বীকার করলেও কীভাবে তা এলো এবং কীভাবে তারা রিসিভ করেছেন তা বলতে পারেননি। অবশেষে তার পরিচয় জানালো পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রঃ জাগোনিউজ