লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বাতের ব্যথা এমন এক যন্ত্রণাময় সমস্যা যার কারণে শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থল ফুলে ওঠে কিংবা ব্যথাস্থলে শক্তভাব অনুভূত হয়।
কিছু কিছু বাতের সমস্যা থাকে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হয় না। এজন্য দীর্ঘসময় ওষুধ খেতে হয়। তবে প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে বাতের ব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন-
১. বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শরীরের ওজন কমাতে হবে। ওজন যত বেশি হবে অস্থিসন্ধির সংযোগস্থলে তত বেশি চাপ পড়বে। বিশেষ করে হাঁটু, কোমর ও পায়ে পাতায় চাপ বেশি পড়লে ব্যথাও বেশি হবে। ওজন কমাতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ব্রকলি, আখরোট, ফ্যাটি মাছ, বেরী ও আঙুর রাখতে পারেন।
২. নিয়মিত ব্যয়াম করলে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে বাতের রোগীদের খুব ভারী ধরনের ব্যায়াম করা ঠিক নয়।ফিজিওথেরাপিষ্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করতে পারেন।
৩. বাতের ব্যথা কমাতে ঠাণ্ডা ও গরম থেরাপি দারুন উপকারী। একটানা বেশিক্ষন বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকলে বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। ব্যথাস্থলে আইস ব্যাগ দিয়ে প্রথমে ২০ মিনিট ধরে রাখুন। তারপর সেখানে গরম কাপড় বা হিট প্যাড দিয়ে ২০ মিনিট চেপে ধরুন। এতে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
৪. যারা বাতের ব্যথায় ভূগছেন তারা আকুপাংচার করাতে পারেন। হাজার বছরের পুরনো চাইনিজ এই চিকিৎসায় বাতের ব্যথা অনেকটা নিরাময় হয়।
৫. খাদ্যতালিকায় ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড যোগ করুন। এজন্য মাছের তেল, আখরোট, সয়াবিন, সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এ ধরনের খাবার উচ্চ রক্তচাপ , হৃদরোগজনিত জটিলতা কমায়।সেই সঙ্গে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
৬. নিয়মিত ম্যাসাজ করলেও বাতের ব্যথা কমে। যাদের ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়, যারা অনেক বেশি উৎকণ্ঠায় ভোগেন তাদের মাংসপেশী অনেক বেশি শক্ত হয়ে যায়।নিয়মিত ম্যাসাজ করলে পেশী শিথিল হয়। ব্যথাও কমে যায়।
সূত্র : হার্টিএজিং