অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রশাসনকে দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রশাসনের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে থেকে কমিশনের ভূমিকাকে খাটো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা উপজেলা নির্বাচনকে বিতর্কিত করছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত স্মরণসভায় মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী নেতা এখনও প্রশাসনকে চাপ দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছেন। এসব তথাকথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি কারা? যারা প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচন বিতর্কিত করতে চান, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট লাট আছেন, যারা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান মনে করেন। স্থানীয় পর্যায়ে এসব ছোট ছোট লাট উপজেলা নির্বাচনে তার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য এমন কোনো কাজ নেই করেন না। এটা হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি উপেক্ষা করে মানুষ এখন আস্তে আস্তে ভোট দিতে আসছে। এটাকে সফল করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ও সংসদের আলোচনায় উঠে আসা প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তারা কঠোর হবেন। কঠোর হননি কেন এখনও? কবে আর কঠোর হবেন? এ ধরনের কথা আর শুনতে চাই না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থায় কিছু ফ্রাঙ্কেনস্টাইন গড়ে উঠেছে, যারা কারও কথাই মানতে চায় না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও তারা মানছেন না। কিছু অতি উৎসাহী শ্রমিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সরকার সমর্থিত পেশাজীবীরাও কারো নির্দেশই মানতে চাচ্ছেন না। এদের রুখতে না পারলে শেখ হাসিনার কষ্টার্জিত সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য, নানাক্ষেত্রে প্রশাসনের শিথিলতা এবং মাদক ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এখন থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে ১৪ দল। সভা-সমাবেশ ও সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে এই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, খোন্দকার মোজাম্মেল হক, এম এ করিম, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।