লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
নিজের সঙ্গে সবাই একটা বিস্ময়কর ছোট বাদ্যযন্ত্র বহন করেন। কিন্তু সবাই কি তা জানেন? যখনই আপনার ইচ্ছে তখন দুই ঠোঁট কুঞ্চিত করে এটা বাজাতে পারেন। অনেকেই এটাকে শিস দেওয়া বলেন। শিস বাজানো এমন ধরনের ব্যাপার যা আপনি চাইলেই করতে পারেন। গান গাওয়ার মতো এর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এর সঙ্গে গলা ব্যথা বা কর্কশ স্বরের কোনো সম্পর্ক নেই। এর অনেক উপকারিতাও আছে। যেমন-
১. আপনি যদি অফিসের কাজে বিপর্যস্ত থাকেন কিংবা যানজটে দীর্ঘ সময় আটকা থাকেন তখন শিস বাজানোর চেষ্টা করুন। এটা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। কিছু সময়ের জন্য আপনার মনকে শান্ত করতে ভূমিকা রাখবে।
২. উৎকণ্ঠা দূর করার অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে বড় করে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস করা। এটা ছাড়াও উৎকণ্ঠা দূর করতে শিস বাজাতে পারেন। এটা শুধু আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসকেই উন্নত করবে না বরং আপনার মন থেকে উৎকণ্ঠা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
৩. মেজাজ বেশি খারাপ হলে শিস বাজাতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সহজ কিছু ব্যাপার বিশেষ করে শিস বাজালে মুড পরিবর্তন হয়। মন ভাল করতে পার্কে হাঁটতে হাঁটতে শিস বাজাতে পারেন।
৪. নিয়মিত শিস বাজালে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বাড়ে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও ভালো থাকে। এতে শরীরের অন্যান্য অংশও পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়।
৫. যেহেতু শিস দেওয়ার অভ্যাস করলে মানসিক চাপ দূর হয় সে কারণে এই অভ্যাসে প্রাকৃতিকভাবেই চেহারায় তারুণ্যতা বজায় থাকে।
সূত্র : হেলদি বিল্ডার্জড