ক্রীড়া ডেস্কঃ
প্রায় ১২২ মিলিয়ন ইউরোয় লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পর এক বছরের অল্প কিছু বেশি সময় পার হয়েছে মাত্র। তাতেই ব্রাজিলিয়ান তারকা কৌতিনহোর ওপর থেকে প্রেম উঠে গেছে বার্সেলোনার। যে কারণে কেনা দামের চেয়েও কমে তাকে বিক্রি করে দিতে চাইছে লা লিগার জায়ান্ট ক্লাবটি। যদিও কৌতিনহো নিজে চান, বার্সায় থেকে যেতে।
২০১৮ সালের মধ্যবর্তী দলবদলে নেইমারের ঘাটতি পূরণ করতে লিভারপুল থেকে ১২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ব্রাজিলের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে কিনেছিল বার্সা। ন্যু ক্যাম্পে নাম লেখানোর পর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দলের জয়ে রাখছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
কিন্তু বিপত্তি বেধেছে চলতি মৌসুমে। এই মৌসুমে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তাকে বসে থাকতে হচ্ছে সাইড লাইনে। অধিকাংশ ম্যাচেই স্টার্টিং লাইনআপে থাকতে পারেননি তিনি। মাঠে নামলেও সেটা ছিল বদলি হিসেবে। এখনও পর্যন্ত চলতি মৌসুমে ৪১ ম্যাচে অংশ নিয়ে মাত্র ৯ গোল করেন তিনি। অ্যাসিস্ট ছিল কেবল ৫টিতে।
এমনকি সর্বশেষ রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ী ম্যাচে কৌতিনহোকে দেখে ধুয়ো ধ্বনি দিয়েছে খোদ বার্সা সমর্থকরাও। এমন পরিস্থিতিতে কৌতিনহোকে ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করছে না বার্সা। যে কারণে অন্তত ১০৫ মিলিয়ন ইউরো পেলেই ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে ছেড়ে দেবে মেসির দল।
এইএসপিএনকে এ নিয়ে বার্সার একটি সূত্র বলছে, ‘এখনও আমরা (বার্সেলোনা) আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ক্লাব থেকে কৌতিনহোর বিষয়ে প্রস্তাব পাইনি। তবে অনেকেই তার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন ক্লাবের কর্তা ব্যক্তিরা তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’
জানা গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং চেলসি খুব বেশি আগ্রহী ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে পেতে। বার্সা কৌতিনহোকে ছেড়ে দিতে চাইলেও, যতদিন ন্যু ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি, ততদিন বার্সা তাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনা করছে। বার্সার সেই সূত্র ইএসপিএনকে বলেন, ‘সাধারণত সে খুব সুখি একজন খেলোয়াড়। যে কি না নিয়মিতই অনুশীলন উপভোগ করে। কিন্তু যখন সে মাঠে যায়, তখন কি যেন হয়ে যায়, যেটা তার জন্য ভালো নয়। অথচ, আমরা জানি তার অনেক যোগ্যতা রয়েছে সেরা একাদশে থাকার। আশা করছি, তার আত্মবিশ্বাস খুব দ্রুত ফিরে আসবে।’