নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের কক্সবাজার সদর উপজেলায় ভোট আজ। উপজেলা নির্বাচনের আজকের চতুর্থ দফার ভোট উপলক্ষে গতকাল দুপুরে উপজেলা থেকে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহন না করায় রাজনৈতিক উত্তাপ কম। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে কমিশন। নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব , আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে ইসি।
জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলাতে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। চতুর্থধাপে কক্সবাজার সদরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এদিকে বেশিরভাগ এলাকায় ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। কিছু কিছু প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের মতো আজও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। সব দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
এ উপলক্ষে নির্বচন কমিশন কড়া নির্দেশনা দিয়েছে। যদি কোথাও কোনো রকম কোনো অনিয়ম দেখা যায়। তাহলে তাত্ক্ষণিকভাবে সেই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। চতুর্থধাপে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ১০৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কক্ষ রয়েছে ৬৪৮টি। এ উপজেলায় আজ ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এবার উপজেলার ভোট হচ্ছে পাঁচ ধাপে। সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শিমুল শর্মা জানিয়েছেন, প্রতিটি কক্ষে ইভিএম ব্যালট ইউনিট থাকবে তিনটি করে। আর কন্ট্রোল ইউনিট থাকবে ৬৪৮টি। এ ছাড়া কোনো ইউনিটে টেকনিক্যাল ত্রুটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লেস করার জন্য অতিরিক্ত ১০০টি ব্যালট ইউনিট মজুত রাখা হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এবারের উপজেলা ভোট নিয়ে শুরু থেকেই কঠোর ইসি। ইতিমধ্যে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে এমপিকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আচরণ বিধি অনুসরণে স্পিকারকেও চিঠি দেন সিইসি। আইজিপি, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিবকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কয়েকজন ওসিকেও প্রত্যাহার করে কমিশন। ভোটের ৭ দিন আগে থেকে বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা সুত্রেগুলো জানান, ইসি ভোট নিয়ে আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যেসব এলাকায় সমস্যা আছে বলে মনে হয়েছে, সেখানে বিজিবি ও র্যাবের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ১৫ জন নির্বাহী হাকিমও নিয়োগ করা হয়েছে।