অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিস্টিকসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার অর্জনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অটিস্টিক ব্যক্তিসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে পারে প্রযুক্তি এবং উপকরণ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।’
বিশ্ব অটিজম দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অটিস্টিক শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের পিতামাতা বা যত্নদানকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল, বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। অটিস্টিকসহ সকল প্রতিবন্ধী মানুষের যোগাযোগ, শিক্ষা, সামাজিক দক্ষতা, স্পিচ বা ল্যাঙ্গুয়েজ দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে এ সকল কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮’ অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা ২০১৯ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন আমার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরামর্শে বিগত ১০ বছরে আমরা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অটিস্টিক শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি।’
বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২ এপ্রিল ১২তম অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।