আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
১০ রুপি হাতে একটি মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ভাইরাল ছয় বছরের শিশুটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। শিশু ডেরেক সি লালচানহিমা যে স্কুলে পড়ে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে পুরস্কৃত করেছে।
শিশুটির এমন মানবিক কাজের জন্য তাকে দেওয়া হয়েছে একটি প্রশংসাপত্র। যাতে লেখা ‘ওয়ার্ড অফ অ্যাপ্রিশিয়েসন’। প্রশংসাপত্র হাতে শিশুটির ছবি বৃহস্পতিবার আবারও ভাইরাল হয়। খবর ইন্ডিয়া টাইমস ও এনডিটিভি
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ছয় বছর বয়সী শিশু ডেরেক সি লালচানহিমা নিজের সাইকেলে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়। তবে ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়নি বরং মুরগির বাচ্চাটিকে বাঁচাতে হাসপাতালে ছুটে যায়। তখন তার এক হাতে ছিল মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ১০ রুপি। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করা মাত্রই এক লাখ ২৪ হাজার লাইক পড়ে। মন্তব্য করেন ১১ হাজার ব্যক্তি। আর ছবিটি শেয়ার হয় ৮৭ হাজার।
পরে এ বিষয়ে সাংগা বলেন, শিশুটির বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘনার পর প্রতিবেশির মুরগির বাচ্চাটি নিয়ে ডেরেক বাড়িতে আসে। মুরগির বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে চাইছিল না এবং বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য চাপ দিতে থাকে। শিশুটির বাবা তাকে ১০ রুপির একটি নোট দিয়ে হাসপাতালে যেতে বলেন। ডেরেক তখন মুরগির বাচ্চা ও ১০ রুপি নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।
সাংগা আরও জানান, মুরগির বাচ্চাটি সুস্থ না হওয়ার পরে হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে ডেরেক বাড়িতে যায় এবং ১০০ রুপি নিয়ে আবার হাসপাতালে আসে। শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটি মারা গেছে। হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।
ডেরেকের এমন মানসিকতা এরইমধ্যে বহু মানুষের হৃদয় জয় করেছে। সবাই প্রাণভরে আশীর্বাদ করেছেন তাকে।