লামা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কৃমি ট্যাবলেট খাইয়ে এ কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদুল হক।
জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা বক্তব্য রাখেন, লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. ইমতিয়াজ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) সমীরণ বড়ুয়া প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী আলোচনা সভায় লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদুল হক বলেন, কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কৃমি শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়। কৃমির কারণে অস্থিরতা, অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা, অবসাদে ভোগা, আত্মহত্যা প্রবন হওয়া, কৃমি থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে,স্মৃতিভ্রম হয়। এছাড়াও কৃমির কারণে ফাইলেরিয়াসিস বা গোদ রোগ হয় তাই যে কোন সময় যদি কৃমির সমস্যা থাকে সময়মত ঔষধ সেবন করতে হবে। ‘যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া, পেট ও মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনও সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময় থাকে না।’ খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন তিনি। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে ওষুধ খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি আহবান জানান।
প্রসংগত, সারাদেশের ন্যায় লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ( ৬-১১ এপ্রিল) ৭ দিনব্যাপী এ জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলবে। এসময় লামা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ৫-১৬ বছরের শিশুদের মধ্যে একটি করে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হবে।