অনলাইন ডেস্কঃ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আদালতের বর্তমান মামলার জট কমাতে ও প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের আস্থা ধরে রাখতে, স্বল্প খরচে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও মামলার সঠিক ব্যবস্থাপনাসহ বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকার বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রতি জোর দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং জার্মান সহযোগিতা সংস্থা- জিআইজেড বাংলাদেশ আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের কাছে সরকারি আইনগত সহায়তার সুফল পৌঁছে দিতে জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির পাশাপাশি, ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। লিগ্যাল এইডসহ অন্যান্য মামলা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন যাতে বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত সময়ে মামলার চূড়ান্ত ফলাফল পায় এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে লিগ্যাল এইডের প্রতি আস্থাশীল হয়।
তাই স্থানীয় পর্যায়ে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন- ২০০০ অনুযায়ী জেলা লিগ্যার এইড অফিসারকে এডিআরের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থীদের কল্যাণে সরকার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে এডিআর কর্নার বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজে লাগাতে আগ্রহী বলে জানান মন্ত্রী।
জেলা পর্যায়ে কর্মরত লিগ্যাল এইড অফিসার, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ আইনগত সহায়তা প্রদানকারী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কর্মশালা উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় স্বপ্রণোদিত, কার্যকর এবং দ্রুততর আইনগত সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কর্মশালার শুরুতে ২০১৬ জিআইজেড পরিচালিত বাংলাদেশ জাস্টিস অডিটের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, মাত্র ১৩ শতাংশ বিচারপ্রার্থী আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রার্থনা করে। ৮৭ শতাংশ বিচারপ্রার্থী স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সচেষ্ট থাকে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।