লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বর্তমানে যৌন হয়রানি খুব কমন একটি ঘটনা। কিছু বিকৃতমনা পুরষের লালসার শিকার হতে হয় নারী এমনকি শিশদেরও! কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলে শিশদেরও এরকম হয়রানির শিকার হতে দেখা যায়। এ ধরণের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা যেটি হয়, যে নির্যাতিত হচ্ছে সে বুঝতে পারে না, কাউকে বলতেও পারে না এবং এই নির্যাতন ভয়াবহ মানসিক বৈকল্যের সৃষ্টি করে। আদরের নামে জড়িয়ে ধরা, শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া, অশালীন আলাপ করা- এগুলো সবই অহরহ ঘটছে এই আপনার আমার শিশুদের সাথেই।
সন্তান সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন:
* সন্তানকে একা না রাখা। শিক্ষকের সামনে কাউকে না কাউকে বসিয়ে রাখা।
* সিসিটিভি। যে ঘরে সন্তান পড়ছে সেখানে সিসিটিভি লাগানো, শিক্ষককে তা জানানো এবং সেটা মনিটর করা।
* সন্তানের সাথে সরাসরি এসব বিষয়ে কথা বলা। তাকে “খারাপভাবে স্পর্শ” করছে কিনা এ সম্পর্কে বোঝানো। নির্যাতিত হলে সে যেন না লুকায় এই আশ্বাস তাকে দেয়া।
নিজে যৌন হয়রানির শিকার হলে:
*শুরুতেই জানিয়ে দিন, আপনি নিরীহ নন। তার কোন আচরণ পছন্দ না হলে চোখে চোখ রেখে শক্তভাবে বলে দিন সে যেন সীমা অতিক্রম না করে।
* নিপীড়ক যেই হোক, চুপ করে থাকবেন না। প্রয়োজনে কেস করুন। লোকলজ্জা চুলোয় যাক।
* চেষ্টা করুন প্রমাণ রাখতে। মোবাইলে বদমাশটির ভয়েস রেকর্ড করুন, টেক্সটগুলো রেখে দিন।
* আপনার ক্ষেত্রে উল্টো স্ট্রাটেজি, আপনার চেপে যাওয়াটাই ওর অস্ত্র। নির্যাতিত হলে লুকোবেন না, অফিশিয়াল কমপ্লেন করুন, মামলা করুন।
* সমাজকে ভেঙেচুরে গড়বার কাজটা এই আপনারই হাতে। আপনার সন্তান যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ভিকটিম হলে উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করুন, আপনার সন্তানের পাশে দাঁড়ান।
বেনিফিট অফ ডাউট দেয়া বন্ধ করুন। শুরুতেই চিহ্নিত করুন যে আপনি যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ধরণের হিন্ট পাওয়া মাত্র সরাসরি বলুন যে, আপনি এটি পছন্দ করছেন না।
* অফিসে যৌন হয়রানির শিকার হলে যত সিনিয়র অফিসারই হোক, ভয় পাবেন না। চোখে চোখ রেখে ঠান্ডা গলায় আপনার আপত্তি জানিয়ে দিন। বেশিরভাগ সময়ে দ্বিতীয়বার এই কাজ করবে না।
* “আমার চাকুরি চলে যাবে, প্লিজ মাফ করে দাও এবারের মতো”- এসব কথায় গলে যাবেন না। আপনি ছেড়ে দেয়া মাত্র সে আপনার নামে কুকথা ছড়াবে।
* আশেপাশের মানুষের কথায় পাত্তা দেবেন না। এরা আপনার মাস শেষে বিলটা দিয়ে দেয় না, এদের কথায় আপনার কিছু যায় আসে না।
* “আর কারো সাথে হয় না, আপনার সাথেই হয় কেন” এ ধরনের কথা কানে নেবেন না। সবার সাথেই হয়, কেউ মেনে নেয় চুপচাপ আর কেউ বীরের মত প্রতিবাদ করে।