নিউজ ডেস্কঃ
মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জল উৎসবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি সম্প্রদায়ের সপ্তাহব্যাপী বৈসাবি উৎসব শেষ হয়েছে।
সোমবার মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা একে-অন্যকে পানি ছিটিয়ে পুরাতন বছরের দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জল উৎসবে মেতে উঠে।
মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নারানগিরি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংগ্রাই জল উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য দীপংকর তালুকদার।
মাসসের সভাপতি অংসু প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কেএম শফি কামাল, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) রাঙামাটির অধিনায়ক কর্নেল শামসুল আলম প্রমুখ স্বাগত। বক্তব্যে দেন মাসসের সাধারণ সম্পাদক মউসিং মারমা।
ঐতিহ্যবাহী মং (ঘণ্টা) বাজিয়ে ও ফিতা কেটে জল উৎসবের উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার। এরপর মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একে অন্যকে জল ছিটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।
জল উৎসবের পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জল উৎসব দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন। দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকসহ পাহাড়ি-বাঙালির এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের মানুষ এই উৎসবটি আনন্দমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করেছে।
উল্লখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে কেন্দ্র করে মারমারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ জল উৎসব করে থাকে। জনশ্রুতিতে রয়েছে, এ জল উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীরা তাদের প্রিয় মানুষটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ পায়।