অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে কক্সবাজারের আলোচিত এমপি আবদুর রহমান বদি নিজেকে একজন ‘সৎ ব্যবসায়ী’ বলে দাবি করেছেন।
বুধবার ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে দুদকের এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করেন ক্ষমতাসীন দলের এই সাংসদ।
আদালতে বদির দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে দুদকের আইনজীবী কবির হোসাইন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি খেলাপিও না, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদও আমি অর্জন করিনি। আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি নির্দোষ; সৎ ব্যবসায়ী, ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি।”
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ বদি ২০১৪ সালে তার এলাকার সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পান। ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাতেও তার নাম এসেছে।
দুদকের আইনজীবী জানান, আদালত ২০ জুলাই এ মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানির দিন রেখেছেন।
ওই দিন কোনো সাফাই সাক্ষী হাজির করবেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন আসামি বদি।
২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বদির বিচার শুরুর পর এ মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।
২০১৪ সালের ২১ অগাস্ট প্রায় ১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি বদির বিরুদ্ধে এই মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান।
গত বছরের ৭ মে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বদির ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দুদকের এ মামলায় ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাগারেও ছিলেন আব্দুর রহমান বদি। পরে তিনি হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান।
মুক্ত হওয়ার পর নিজের এলাকায় ফিরে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদের ‘ধন্যবাদ’ জানান আব্দুর রহমান বদি। সেখানে তিনি বলেন, মামলা করে কারাগারে পাঠানোয় এলাকায় তার ‘জনপ্রিয়তা যাচাই’ হয়েছে এবং উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হতে পেরেছে।
“আমাকে সারাদেশে ব্যাপকভাবে পরিচয় করে দিয়েছে সাংবাদিকরা। তাই সাংবাদিকদের প্রতি স্যালুট।”
[বিডিনিউজ]