অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের তালিকায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশিরা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৭ জন ভ্রমণপ্রেমী দেশটিতে বেড়াতে যান। এই সংখ্যা ভারতে যাওয়া বিভিন্ন দেশের মোট পর্যটকের ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
ভারতে অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণপিপাসুর উপস্থিতির দিক দিয়ে দুই নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মার্কিন মুলুক থেকে ভারতে পর্যটক এসেছিল ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯১৯ জন। তিন থেকে ১০ নম্বরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স। বাংলাদেশসহ ১০টি দেশ থেকে ২০১৭ সালে ভারতে বেড়াতে যায় ৬৬ লাখ ৩ হাজার ৭৪ জন। আর ওই বছর দেশটিতে মোট পর্যটক গিয়েছিল ১ কোটি ৩৫ হাজার ৮০৩ জন।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় পর্যটনের বিকাশে ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ স্লোগান নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশি পর্যটকদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এতে। এর অংশ হিসেবে সহজ করা হয়েছে ভিসা প্রক্রিয়া। ভারতের ১২টি ভিসা আবেদন কেন্দ্র আছে বাংলাদেশে। বিশ্বের আর কোনও দেশে এত ভিসা সেন্টার নেই ভারতের। বিশ্বে তাদের বৃহত্তম ভিসা সেন্টার ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে (বিটিটিএফ) ভারতের পর্যযটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এক সেমিনারে দেশটির পর্যটন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। মেলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ট্যুরিজম বোর্ড, হোটেল ও ট্যুর অপারেটদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক ও রিজিওনাল পরিচালক (পূর্ব) সাগ্নিক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথায়, ‘ভারত পর্যটক বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে সহজে পর্যটকরা আসতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভারতে যান, তাই বাংলাদেশকে কেন্দ্র করেও আমাদের নানান উদ্যোগ রয়েছে। সম্প্রতি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বাংলাদেশ চাইলে ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রক্রিয়াও চালু করা সম্ভব হবে।’
সাগ্নিক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্য, নানান উৎসব, সংস্কৃতি, প্রাচীন স্থাপনা, প্রকৃতিসহ নানান উপাদান আছে যা মানুষকে আকৃষ্ট করে। আমরা সেগুলো বিশ্বজুড়ে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
বিটিটিএফ আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এতে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। চারটি হলে ১৫টি প্যাভিলিয়ন ও ১৬০টি স্টলসহ মোট ২২০টি স্টলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা ও পণ্য উপস্থাপন করছে।
মেলায় ভারত, নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ট্যুর অপারেটররা অংশ নিচ্ছেন। দর্শনার্থীদের সামনে নিজেদের দেশে ভ্রমণে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ তুলে ধরছেন তারা। শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় মেলার সমাপনী দিন। দর্শনার্থীদের জন্য রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই আয়োজন। প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
সূত্রঃ বিডিনিউজ