এ.এম হোবাইব সজীব:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির তপন কান্তি দাশের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছি তাই খতিয়ান সৃজন করতে আসা প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিবনা কেনো’? এমন দম্ভোক্তি তার।
তপন বলেন, সরকার আমাকে বেতন দেয় কতো..? এতে ভরণ পোষন না হওয়ায় এভাবে কৌশলে টাকা আদায় করতে হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগি জনসাধারণের কাছ থেকে যতটুকু পেরেছেন সাধ্যতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
এতে কেউ কর্ণপাত না করায় তিনি দ্বিগু উৎসাহিত হয়ে লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্যর মহোৎসবে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে রীতিমতো। একটি ডিসিআর কাটতে সরকারি পাওনা থাকে ১১শ’ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে নাজির তপন কান্তি দাশ সাড়ে ৩ হাজার টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একইভাবে নথি তোলা থেকে ৫শ’ টাকা হলেও এর ক্ষেত্রে নিয়ে নিচ্ছে ২ হাজার টাকা। এডিসি রিভিনিওর ফাইল পাঠাতে টাকা নেওয়ার কোন বিধান না থাকলেও এ অজুহাতে নিয়ে নিচ্ছে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে নানান কিস্তিতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের হিসাব-নিকাশের পর্যবেক্ষেণে আসা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কাছে নানান প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ হয় উপজেলা ভূমি অফিস। কিন্তু সুনামের সাথে সেই বদনাম রোধ করতে তৎকালীণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া হার্ডলাইনে যান এব্যাপারে। এতে উক্ত কার্যালয়ে জমির খতিয়ান সৃজন করতে আসা প্রার্থীরা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ফিরে পান সুষ্ঠু পরিবেশ। যার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন পরপর যোগদানকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল হক। তিনিও প্রচেষ্টা চালিয়ে যান ভূমি অফিসকে দুর্নীতির রাহু গ্রাস থেকে রক্ষা করতে।
কিন্তু দপ্তরের বিভাগ ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকর্তারা দুর্নীতিযুক্ত বিতর্কিত লেনদেনের সুবিধা হাছিল করতে না পারায় ভূমি কর্মকর্তার বদলি জনিত শূণ্য পদে নতুন ভূমি কর্মকর্তা যোগদানের আগেই ওই চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠে ফের। যার কার্যক্রম সক্রিয় হয়ে উঠে নতুন করে দপ্তরটিতে।
এদিকে ভূমি অফিসের এমন তথ্যের সরেজমিন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নাজির তপন কান্তি দাশ- “সরকার আমাকে যে টাকা দেয়, তাতে কুলায়না” দাবি করে আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, চাকরিতে আসতে ঘুষ দিতে হয়েছে ঊর্ধ্বতন মহলকে। তাই এ টাকা তুলে না নিলে চলবো কিভাবে..?।
এব্যাপারে সেবা নিতে আসা লোকজন চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ সাহেদুল ইসলামের আশু হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।