অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলার তীব্র নিন্দা এবং এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ব্রুনাইয়ের দারুসসালামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনও বর্ণ, ধর্ম ও দেশ নেই। তারা সন্ত্রাসী এবং মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। সুতরাং আমি তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
রবিবার সন্ধ্যায় এম্পায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইন্দেরা সামুদেরা বলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক গণসংবর্ধনায় বক্তব্য রাখছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় আটটি স্থানে সংঘটিত বোমা হামলায় বহু লোক নিহত ও আহত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আরেকটি দুঃখজনক ঘটনা হলো— শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ের পরিবার শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেলিমের মেয়ে-জামাই ও নাতি এ সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেয়ে-জামাই আহত হন এবং বিকাল পর্যন্ত নাতির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডেও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কেবল জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেনি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক রেখেছে। ‘আমরা সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করা মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী, দুর্নীতিবাজ ও মাদকাসক্তদের ঠাঁই হবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত চক্রের আগুন হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের জঘন্য কর্মকাণ্ডে অনেক নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এখন সমাজে সেই হামলার প্রভাব লক্ষ্য করছি। কিছু লোক এখন সেই ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ ও ব্রুনাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এ কে এম আহসান উল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসাইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলী আশরাফ খান খসরু, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সূত্রঃ বাসস