আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত অন্তত ৩৭ নাগরিকের শিরশ্ছেদ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অতি-রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরব। মঙ্গলবার দেশটির এই ৩৭ নাগিরকের শিরশ্ছেদ করা হয়।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, রাজধানী রিয়াদ, পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা, মধ্যাঞ্চলীয় কাসিম ও সংখ্যালঘু শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে অভিযুক্তদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ওই ৩৭ জনের মধ্যে একজনকে শিরশ্ছেদের পর ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে। গুরুতর অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের শিরশ্ছেদের পর ক্রুশবিদ্ধ করার আইন দেশটিতে বলবৎ রয়েছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সির (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদে জড়ানো, চরমপন্থী মতাদর্শ পোষণ, সন্ত্রাসী সেল গঠন ও দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার দায়ে অভিযুক্তদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
অতি-রক্ষণশীল সৌদি আরবে সাধারণত অভিযুক্তদের শিরশ্ছেদ করে সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করা হয়। রোববার দেশটির রাজধানী রিয়াদে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করার একদিন পর এই গণ-শিরশ্ছেদের খবর এলো।
রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ভবনে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ইতোমধ্যে আইএসের ১৩ যোদ্ধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুলফি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওই ভবনে আইসের হামলার দায় স্বীকার করে নেয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি বলছে, ওই হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ইসলামিক স্টেটের চার জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। রিয়াদের উপশহর আল-জুলফিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হামলার পরিকল্পনার চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে কমপক্ষে ১০০ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। গত বছর তেল সমৃদ্ধ এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত অন্তত ১৪৯ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়।
সূত্রঃ জাগোনিউজ