অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন ও বিচার নেই। আছে শুধু ধর্ষণ ও হত্যাতন্ত্র।
গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্দনে এসব কথা বলেন তিনি।
আফরোজা আব্বাস বলেন, দেশে এখন খুন, ধর্ষণ ও গুমের বিচার হয় না। বিচারহীন সংস্কৃতির কারণে খুন, ধর্ষণ ও গুম বেড়ে গেছে। দেশে যদি ন্যায়বিচার থাকতো, একটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো তাহলে নুসরাতকে আগুনে পুড়ে জীবন দিতে হতো না। ধর্ষকদের হাত থেকে নারী ও শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, মনে রাখবেন আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। নুসরাতের খুনিদের শুধু গ্রেফতার করলে হবে না। তার পরিবারকে টাকা দিলে, তার ভাইকে চাকরি দিলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না। নুসরাতের খুনিদেরকে ধরে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করুন।
আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, সরকার বলেছে এ সরকার নারীবান্ধব। অথচ এই সরাকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি নারী ধর্ষিত আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের কারাবন্দি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্দেশে দেশব্যাপী নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি আমরা।
ফেনী জেলা মহিলা দলের সভাপতি জুলেখা আক্তারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আরলি, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মদ, যুগ্ম-সম্পাদক শাহানা আক্তার শানু, বেগম ফাতেমা বাদশা, প্রচার সম্পাদক নাজনীন মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মণি, সহ-সভাপতি জেসমিনা খানম ও শাহীদা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে তারা সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে নুসরাতের মাসহ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। পরে মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নুসরাতের পরিবারকে ১ লাখ টাকা ও সৌদিআরব বিএনপির পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকার অনুদান দেন তারা।
সূত্রঃ জাগোনিউজ