অনলাইন ডেস্কঃ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা জিপিএ-৫ পাচ্ছি অথবা ডিগ্রি অর্জন করছি কিন্তু বাস্তব জীবনে আমরা দক্ষতা দেখাতে পারছি না। অনেক ক্ষেত্রে আমরা যথাযথভাবে বাংলা অথবা ইংরেজিতে ভাব বিনিময় করতে পারি না। যা বুঝাতে চাই তা যথাযথ ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে বুঝাতে পারি না। জিপিএ-৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনাতয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন এবং এটুআই প্রোগ্রামের আয়োজনে শিক্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বিগত দশ বছরে শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তার গুণগত মান উন্নয়ন করতে হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে প্রচুর শ্রমিক চাকরি হারাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষাখাতে যে দেশ যত বেশি বিনিয়োগ করেছে সে দেশ তত উন্নত হয়েছে।
শিক্ষক সম্মেলনে আমার গ্রাম-আমার শহর, আমার-শিক্ষা শিরোনামে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে স্কুল ব্যবস্থপনা কমিটির ভূমিকা গুরুত্বর্পূণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা অথবা প্রভাবশালীরা স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা শিক্ষার গুণগত মানের দিকে বেশি খেয়াল রাখেন না। এই বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে।
উল্লেখ্য, এটুআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে “শিক্ষক বাতায়ন” নামে একটি ওয়েব পোর্টাল আছে। ওই ওয়েব পোর্টালে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার শিক্ষক যুক্ত আছে। সংযুক্ত শিক্ষকবৃন্দ এই ওয়েব পোর্টালে কনটেন্ট আপলোড করেন। আপলোড করা কনটেন্ট বিচার বিশ্লেষণ করে প্রতি সপ্তাহে তিন জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্ধারণ করা হয়। গত এক বছরে যারা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছে তাদের অংশ গ্রহণে এই শিক্ষক সম্মেলন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ