বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর অধিবাসীদের খাদ্যস্বল্পতা মোকাবিলায় দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চেয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। আক্রান্ত এলাকার লোকজনের মধ্যে যাঁদের ভোটার পরিচয়পত্র নেই, তাঁদের দ্রুত পরিচয়পত্র দেওয়ার এবং তিন মাস তাঁদের জন্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্র্যাক এ দাবি জানায়। গত মাসে ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালকসহ ১৬ জন কর্মকর্তা দুই দফায় ১০ দিন থানচির বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করা হয়।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ, টেকনোলজি এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিটের পরিচালক কে এ এম মোর্শেদের সঞ্চালনায় থানচির পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক গওহার নঈম ওয়ারা।
থানচির পরিস্থিতি উত্তরণে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সরকারি চাল সহায়তার পাশাপাশি নগদ টাকা ও চাল বিতরণের স্থান ও সময় নির্দিষ্ট করা, অধিবাসীদের জন্য বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা, পাহাড়িদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের জন্য স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, ম্যালেরিয়া রোগীদের জন্য সহজলভ্য চিকিৎসা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
গওহার নঈম সরেজমিন পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী, থানচি উপজেলায় খাদ্যস্বল্পতায় ভুগছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। উপজেলার তিন্দু, রেমাক্রি এবং থানচি সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রায় ১১টি দুর্গম গ্রামের অধিবাসীরা বেশি সমস্যায় আছেন।’
স্থানীয় প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন থানচির উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই মুরং, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা গ্রাউসের প্রতিনিধি অপুল ত্রিপুরা, চিন্ময় মুরুং, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী রাজুময় তঞ্চংগ্যা।
[প্রথম আলো]