ক্রীড়া ডেস্ক:
ব্যাটিং স্বর্গ উইকেট, ছোটো মাঠ, বড় স্কোর। এটিই হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সম্ভাব্য বাস্তবতা। কিন্তু বড় রান করার মতো যথেষ্ট পাওয়ার হিটার তো নেই বাংলাদেশ দলে! মুশফিকুর রহিম তাতে খুব সমস্যা দেখছেন না। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের মতো পেশী শক্তির ব্যাটসম্যান না থাকলেও কার্যকর ক্রিকেটারের কমতি তিনি দেখছেন না দলে।
দুর্দান্ত ব্যাটিং উইকেট আর দ্রুতগতির আউটফিল্ড মিলিয়ে ইংল্যান্ডের মাঠগুলো গত কয়েক বছরে হয়ে উঠেছে রানের খনি। তিনশ রান তো বটেই, সাড়ে তিনশ রান হচ্ছে হরহামেশা। গত বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ডে চারশ ছাড়ানো স্কোর হয়েছে তিনটি, যার মধ্যে আছে ৪৮১ রানের বিশ্ব রেকর্ডও। আরেকটি আছে ৩৯৮ রানের স্কোর। সাড়ে তিনশ রানের স্কোর আছে আরও চারটি।
বাংলাদেশ সেখানে ওয়ানডেতে এখনও ৩৩০ ছুঁতেই পারেনি। পেশীশক্তির প্রদর্শনীতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, নেই এমন কোনো ব্যাটসম্যান।
তবে তাতে বড় সমস্যা দেখছেন না মুশফিক। এই ঘাটতি নিয়েই গত কয়েক বছরে দারুণ সব সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে খেলেছে, এশিয়া কাপসহ অন্যান্য টুর্নামেন্টে-সিরিজে সাফল্য পেয়েছে নিয়মিত। মূলত দলীয় পারফরম্যান্সই বাংলাদেশের শক্তি। রোববার মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে মুশফিক জানালেন, এবারও নিজেদের সামর্থ্যেই আস্থা আছে তাদের।
“রাতারাতি আমরা গেইল, পোলার্ড বা রাসেল বের করতে পারব না। রশিদ খানও না। আমাদের যেটা আছে, সেটা নিয়েই কিন্তু আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হারিয়েছি। অথচ পাওয়ার হিটিংয়ে তাদের মতো ভালো ক্রিকেটার আমাদের নেই।”
“আমাদের কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমরা ভালো। মাথা খাটিয়ে খেলতে পারলে আমাদের দল অনেক ভালো। আমরা হয়তো ছক্কা খুব বেশি পারি না, তবে চার তো মারতে পারি। যদি এভাবে ১০-১৫ রান আমরা ব্যাটিংয়ে বেশি করতে পারি ও ফিল্ডিংয়ে ১০-১৫ রান বাঁচাতে পারি, তাহলেই তো ২০-৩০ রানের পার্থক্য তৈরি হলো।”
৩২০-৩৩০ রান তোলার পর বাড়তি ১৫-২০ রান তোলার যে চ্যালেঞ্জ, সেটি নিয়েই অনুশীলনে কাজ করছে বাংলাদেশ। মুশফিক জানালেন, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি।
“স্ট্রাইক রেট গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩২০-এর মতো রান করেও আমরা ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছি। ওটাই প্রমাণ করে যে ওখানে সাড়ে তিনশ রান করতে হবে। আমরা ব্যাটসম্যানরা সেটিই চিন্তা করছি। যদি কেউ একশ করি, সেটিকে ১৩০ বা ১৫০ রানে নেওয়া ও কত দ্রুত নেওয়া যায়, সেসব ভাবছি। রানিং বিটুউইন দা উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমরা সেভাবেই প্র্যাকটিস করছি যে স্ট্রাইক রেট ভালো থাকে। ৩৩০-৩৫০ রান হলেও যেন আমরা তাড়া করতে পারি। কিংবা আগে ব্যাট করলে সাড়ে তিনশ করতে পারি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে সেটিই চেষ্টা করছি।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ