সুনীল বড়ুয়া:
রামুতে মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের আবারো বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এ সময় একটি লম্বা বন্দুক,দুই রাউন্ড কাতুর্জ ও দুটি ধারালো রামদাসহ চার ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার, ২জুলাই দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের প্রস্তাবিত ক্রীড়া ও কারিগরী কলেজের পাশে পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হাতে আটক ডাকাতেরা হলেন, ডাকাত সর্দার আবছার (৪০), মঞ্জুর (৩২), আব্দুল রহিম (৪৬) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৩)। তাদের চারজনেরই বাড়ি ঈদগড় ইউনিয়নের পানিস্যাঘোনা এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের দাবি,ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ৯০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এর আগে গত ২৯ জুন জোয়ারিয়ানালা নন্দাখালী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ-ডাকাত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওইদিনও পুলিশ অস্ত্রসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়,পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে রশিদনগরে প্রস্তাবনাধীন ক্রীড়া কারিগরি কলেজের পাশে পাহাড়ী এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
এ সময় পুলিশের দলটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌছালেই ডাকাতের দল পুলিশকে লক্ষ করে গুলিছোঁড়া শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এভাবে প্রায় ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু ডটকমকে জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৯০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে পুলিশের তোপের মুখে ডাকাতেরা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১টি লম্বা বন্দুক, ২ রাউন্ড গুলি,২টি ধারালো রাম দাসহ ডাকাতদলের চার ডাকাতকে আটক করতে পুলিশ সক্ষম হয়।
তিনি জানান, আটকৃকত চারজনই পেশাদার ডাকাত। এরা ঈদগড়সহ জেলার বিভিন্নস্থানে ডাকাতি,খুন,অপহরণসহ নানা অপকর্ম সংঘঠিত করে আসছে এমন তথ্য পুলিশের কাছে আছে।