অনলাইন ডেস্কঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালনে প্রথমবারের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বাবদ সারাদেশে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১৫ আগস্ট (শোক দিবস) সভা-সমাবেশ, প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও খাবার পরিবেশন করা হবে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল বিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হাম-নাত প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, দোয়া মাহফিল এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপ্যায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এসব কর্মসূচি বাবদ ব্যয় হিসেবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ হাজার টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সারাদেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। গত ১৪ জুলাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এত স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের জুড়ে দেয়া নানা কর্মসূচি আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে বিদ্যালয় প্রধানদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতি বছর বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকীকে শোক দিবস পালন উপলক্ষে নানা আয়োজন করার নির্দেশনা দেয়া হলেও সে পরিমাণে অর্থ দেয়া হয় না। সরকারি স্কুলের ফান্ডের হিসাবে কোনো অর্থ আসে না, তাই বাধ্য হয়েই দিনভর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা আয়োজন করার পর খালি মুখে তাদের বিদায় দিতে হয়।
তারা জানান, শোক দিবস উপলক্ষে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, অথচ ঢাকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৭শ’ ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থী প্রতি পাঁচ টাকা করেও ব্যয় করা সম্ভব হয় না। সারাদিন কষ্ট করে দিন শেষে খালি মুখে সবাইকে বাড়ি যেতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই’র মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী পালনে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বাবদ আগে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হত না।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার বিদ্যালয়কে সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। অর্থের পরিমাণ সামান্য বাড়ালে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। এসব চিন্তা মাথায় রেখে প্রতিটি বিদ্যালয়কে ২ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে শহরের অনেক বিদ্যালয়ে তেমন কোনো বড় আয়োজন করা কঠিন হবে, তবে জেলা পর্যায়ের বিদ্যালয়ে তা সহায়ক হবে। তবে ভবিষ্যতে এ অর্থ আরও বাড়ানো হবে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ