নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের রামুর ঝুঁকিপূর্ণ গর্জনিয়া সেতুর এপ্রোচ থেকে বালু বিক্রি করে আসছিল একটি সিন্ডিকেট। তাঁরা রাতের আধারে এসব বালু মিনিট্রাকে নানা স্থানে কৌশলে নিয়ে যেত। এ বিষয়ে জনক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী গত রোববার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন। তারই সূত্র ধরে সোমবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। অভিযানে গিয়ে ইউএনও ঘটনার সত্যতা পান।
এসময় দুটি বালু উত্তোলণের যন্ত্র (মেশিন), একটি নৌকা ও একাধিক পাইপ বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তলণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অভিযান চলাকালে বিনষ্টকৃত মেশিন দুটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ায়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের দাবি করে ইউপি সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন- জনস্বার্থে বালু তোলা যাবে অনুমতি নিয়ে। সেতুর এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা যাবে না। পাশাপাশি বালু তোলা একটি চলমান প্রক্রিয়া হতে পারে না। এটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়। এপ্রোচে সেতুর পাশ থেকে বালু তোলবে, আবার তা রাতের আঁধারে মিনিট্রাকে বিক্রি হয়ে যাবে এমনটা হতে দেওয়া যাবে না।
এসময় গর্জনিয়া সেতুর এপ্রোচ ব্রিক সলিং করার ঘোষণাও দেন ইউএনও। অভিযানে গর্জনিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদও উপস্থিত ছিলেন।