প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
রামুতে জাপানী উন্নয়ন সংস্থা জেএইচপিয়াগোর সহযোগীতায় পরিবার পরিকল্পনায় কাউন্সেলিং ‘অ্যাচিভিং ইউনিভার্সেল একসেস টু এস.আর.এইচ.আর ইন হোস্ট কমিউনিটিজ অফ কক্সবাজার’ বিষয়ক ২ দিনব্যাপী অবহিতকরণ সভা রামু স্বাস্থ্য বিভাগের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. অফিসার ডা. মিছবাহ উদদীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. পিন্টু ভট্টাচার্য । বিশেষ অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাফিজুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল কাওসার, ডা. জাহিদ উদ্দিন , রামু পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গাজী সাদিকুল হক। রিসোর্স পার্সন ছিলেন জেএইচপিয়াগোর ডা. গাজী রেজাউল হক, ডা. শেফায়েত বরষা, প্রজেক্ট অফিসার ইসরাফিল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবারের সার্বিক মঙ্গল ও উন্নতিসাধন করাই পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গর্ভবতী নারীরাও এখন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে অনেক বেশি সচেতন। অনেক ধরণের নিরাপদ এবং কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রচলিত আছে । দম্পতিরা ভালোভাবে জেনে বুঝে এগুলোর মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দমতো ও তাদের জন্য উপযুক্ত একটি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন । একজন নারীর সুস্থ গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় ও দুটি সন্তানের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবধান। মায়ের স্বাস্থ্য, তার ভূমিষ্ঠ শিশু, নবজাতক ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষে পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে ভালভাবে জেনে বুঝে পদ্ধতি নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে করে সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিতে একজন দম্পতি আকাঙ্খিত পরিবার গঠন করতে পারেন।
গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তাই গর্ভকালীন সেবা। গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর সুস্থতায় গর্ভকালীন যতেœর প্রয়োজন। এই গর্ভকালীন যতেœর লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা।
এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি না করে সমাজকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি সকলকেই অধিকতর সচেতন হতে হবে।