লামা প্রতিনিধি : “দুর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স” ঘোষণা করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লামা উপজেলা শাখার সভাপতি বাথোয়াইচিং মারমা। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯) নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি এই সাধুবাদ পোস্ট করেন। এসময় তিনি লামা উপজেলার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আলোকিত মন, হয়ে উঠি সচেতন একজন হেড লাইন দিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন- দক্ষিণ এশিয়া লৌহ মানব, সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া, সমুদ্রসীমা বিজয়ী কন্যা, বিশ্ব মানবতার জননী, বিশ্বের ২য় প্রভাবশালী ও সৎ নেত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার পরপরই জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রতিশ্রুত ইশতেহার বাস্তবায়নে বর্তমানে “দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স” যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আমার ব্যক্তিগত এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লামা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমাদের সমাজে ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’- এই মানসিকতার কুসংস্কার রন্দ্রে রন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চলছে । যার ফলে দুর্নীতিকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা কঠিনতর হচ্ছে। জনগণকে প্রদত্ত অঙ্গীকার সরকার যথাযথভাবে পালন করা চেষ্টা চালালেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে সমাজের অপেক্ষাকৃত কম সুবিধাভোগী মানুষের ওপর ঘুষের বোঝা ও বঞ্চনা দিনদিন বেড়েই চলছে। ঘুষ ও দুর্নীতি মেনে নেওয়া জীবনের সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে। এতে আমাদের জাতি হিসেবে ঐতিহ্য, আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা ও সততার অবক্ষয় হতে চলেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে নিজেদের ইচ্ছাশক্তি ও আত্মশুদ্ধি প্রয়োজন। মানুষের অশুভ চাহিদা পরিহার করে, মানসিক নিয়ন্ত্রণ দ্বারা মানবিক বিবেকবোধের মাধ্যমে সমাজে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে হবে। দুর্নীতি দমনের জন্য সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই।
‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আলোকিত মন, হয়ে উঠি সচেতন একজন’—এমন বাস্তবধর্মী স্লোগান সামনে রেখে আত্মশক্তি, আত্মশুদ্ধি ও আত্মমর্যাদার বিকাশের মধ্য দিয়ে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অংশ নিতে হবে। তরুণ-যুবকদের সেই সুশীল সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করতে হবে, যেখানে কোনো অন্যায়-অপরাধ, প্রতারণা, অবিচার থাকবে না। আর এ জন্য ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ-জীবনের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি বিষয়ক সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সদুপদেশ ও ধর্মীয় বিধিবিধানের আলোকে তৃণমূল পর্যায় থেকে দুর্নীতি দমনের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা তৈরি করে সামাজিক সচেতনতা ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আন্তধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তাই আসুন, দুর্নীতিকে ‘না’ বলার প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গীকার সামনে রেখে সর্বাত্মক নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলি। পরিশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লামা উপজেলার শাখার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রে জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং বিরত থাকার জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। যদি কোন নেতাকর্মী দলের পদ-পদবীর প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করে এবং আখের গোছানো কাজে লিপ্ত থেকে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করে জননেত্রীর ভিশনে আঘাত হানার কল্পিত প্রচেষ্টার প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের আওতায় এনেই কঠিনতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।