অনলাইন ডেস্কঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় টেকসই জীবনমান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নকল্পে দরিদ্র ২ হাজার কৃষক পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করে ২ হাজারটি কফি ও কাজুবাদাম বাগান সৃজনের মাধ্যমে তাদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র্য হ্রাস করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ লক্ষে প্রস্তাবিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়য়ক মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, যার পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধানের সভাপতিত্বে অ্যাপ্রাইজাল সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্পটির কোন সংশোধন করতে হলে সেই সভায় পরামর্শ দিয়ে আবারো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর যদি প্রকল্পটির সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে অনুমোদন দেয়া হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সুত্র থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ টি পার্বত্য জেলার ১২ টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। আর এর বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্প এলাকাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি। রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর, কাপ্তাই এবং জুরাছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, মানিকছড়ি ও মাটিরাংগা রামগড়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ২ হাজারটি (১ একর) কফি ও কাজুবাদাম বাগান সৃজনের মাধ্যমে ২ হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আগ্রহী ও সংশ্লিষ্ট কৃষককে কফি ও কাজুবাদাম বাগান সৃজন, চাষ পদ্ধতি, পক্রিয়াজাতকরন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, আগ্রহী ও সংশ্লিষ্ট কৃষককে মৌ চাষে সম্পৃক্ত করা।
প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়, এই প্রকল্পে ২ হাজারটি ১ একরের কফি ও কাজুবাদাম বাগান সৃজন, ২ হাজার বাগানে মৌ খামার স্থাপনের লক্ষে মৌ বাক্স সরবরাহ ও মৌ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, ৮ হাজার জন চাষি ও ২০০ জন উদ্যোক্তাকে কফি ও কাজুবাদাম চাষ, ফসল সংগ্রহ ও বাজারজাতকরন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, ২ হাজারটি কম্পোস্ট পিট, ৫০ টি মার্কেট শেড, ১০ টি জিএফএস এবং ২০০ টি পানির উৎস সৃষ্টি এবং ২০০ টি পাওয়ার পাম্প সেট, ৩০০ টি পানির ট্যাংক, ৬টি কফি ও ৬ টি কাজুবাদাম প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্রসহ ৮ হাজার ২০০ টি কৃষি সরঞ্জাম ক্রয়।
সূত্রঃ রাইজিংবিডি