প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
রামু উপজেলার গর্জনীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ এর বর্নাঢ্য উদ্বোধন করা হয়।
১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মিছবাহ উদদীন আহমদ।
তিনি বলেন ‘কৃমি শিশুদের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। কৃমি পেট থেকে রক্ত শোষণ করে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ভবিষ্যৎ নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার বছরে দুইবার বিনামূল্যে
কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর কার্যক্রম চালু করেছেন।
এ কর্মসূচীতে সহযোগীতা করায় তিনি রামু উপজেলার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ)
ডা. সৌনম বড়ুয়া । তিনি বলেন ‘কৃমির খুব বেশি সংক্রমণে শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। যাদের পেটে কৃমি বেশি,ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনও সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘসময় থাকে না। খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকার পরামর্শ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিন উদ্দীন ও রাশেদা বেগম, স্বাস্থ্য পরির্দশক (ইনচার্জ) বিপ্লব বড়ুয়া, কম্পিউটার সহকারী দীপংকর বড়ুয়া ধীমান, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক বাবুল শর্মা, স্বাস্থ্য সহকারী এনামুল হক, সৈকত বড়ুয়া প্রমুখ। এর পরে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মিছবাহ উদদীন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সকলে গর্জনীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছলে প্রধান শিক্ষিকা কাওসার জাহান চৌধুরী স্বাগত জানান। একইদিন তিনি কাউয়ারখোপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, রামু উপজেলার সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মক্তব, এতিমখানা ও উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। বিদ্যালয়বহির্ভূত শিশুদেরকেও বিনামূল্যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে।