রামু উপজেলার এগার ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বসবাস করেন। পুরাকীর্তি, উৎসব-পার্বন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এ উপজেলার সুনাম সুদীর্ঘকালের।
তবে কোন এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রামুর বর্তমান আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়ছে। সম্প্রতি রামুতে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নির্যাতন এমনকি হত্যাকান্ডের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে মাদকের ছড়াছড়ি।
নির্বাচন পরবর্তী হামলা এবং মামলা আশংকাজনকহারে বেড়েছে। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার দৃষ্টান্তও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু একারণে এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এবং শান্তি বিনষ্ট হতে পারে বৈকি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং পুলিশের আরো প্রশংসনীয় ভূমিকা কাম্য।
আমরা এও লক্ষ্য করছি যে, ইদানিং রামুতে যেসব হত্যাকান্ড ঘটেছে তার একটার রহস্যও উদঘাটিত হয়নি এবং এসব ঘটনায় কাউকে আইনের আওতায় আনাও হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার আইন শৃংখলা আরো ভেঙ্গে পড়বে।