ক্রীড়া ডেস্কঃ
শিরোনামটি দেখে অবাক হলেন? বাংলাদেশ আর ভারত তো মাঝেমধ্যেই ফুটবলে মুখোমুখি হয়। তাহলে ৫ বছর পর কেন? হ্যাঁ, হয়। তবে সে ম্যাচগুলো নারী ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়। বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের শেষ লড়াইটা হয়েছে ৫ বছর আগে। নির্দিষ্ট করে বললে, ২০১৪ সালের ৫ মার্চ ভারতের গোয়ায় শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের জাতীয় দল।
অথচ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও ভারত। সেই দুই দেশের ফুটবল লড়াইয়ের কথা এ অঞ্চলের মানুষ ভুলতেই বসে বসেছে পড়শি দেশ দুটোর উত্তেজনাকর ম্যাচের স্মৃতি।
সর্বশেষ যে ম্যাচটি হয়েছিল দুই দেশের তা ছিল একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। ঘরের মাঠের ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-২ গোলে রুখে দিয়েছিল ভারত।
রেফারিং নিয়ে ছিল বিতর্ক। ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে বাংলাদেশের করা একটি গোল বাতিল করেছিলেন রেফারি। ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশের তকলিস আহমেদ বল জালে পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান তকলিসকে আটকানোর চেষ্টা করা ভারতীয় গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে।
সেই ম্যাচের ঠিক ৫ বছর ৭ মাস ১০ দিন পর আবার ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এটি কাতার-২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ। ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবশ্য রেকর্ড ভালো নয় বাংলাদেশের। এ পর্যন্ত দুই দেশ ২৮ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৩টি ম্যাচ। ভারত জিতেছে ১৫ টিতে এবং ড্র হয়েছে ১০ ম্যাচ।
কি ঘটেছিল ২০১৪ সালের সেই ম্যাচে? অনেকেরই মনে আছে। যাদের জানা নেই তাদের জন্য তথ্যগুলো। গোয়ার নেহরু স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে ১৪ মিনিটে সুনিল ছেত্রির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। ৫১ মিনিটে মিঠুন চৌধুরীর গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ৬৫ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডার অর্ণবের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরান সুনিল ছেত্রি (২-২)।
এর পরই গোল করেছিলেন তকলিস আহমেদ। বাম প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল নিয়ে ঢুকেছিলেন তকলিস। বিপদ বুঝে বক্সের বাইরে এসে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন ভারতের গোলরক্ষক সুব্রত; কিন্তু পারেননি। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে তকলিস বলের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান। স্কোর বোর্ডে ভেসে উঠে ভারত- ২ : বাংলাদেশ- ৩।
কিন্তু বল জালে জড়ানোর পর ভারতীয় রেফারি বাজান ফাউলের বাঁশি। প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। লাভ হয়নি। রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ