অনলাইন ডেস্কঃ
‘ভাইয়া আমাকে বাঁচান, বাবা-মা জোর করে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছেন। বাবা-মা অনেক দিন পর্যন্ত আমাকে স্কুলেও যেতে দিচ্ছেন না’ ফোন করে ভোলার লালমোহন থানা পুলিশের ওসি মীর খায়রুল কবিরকে এসব কথা জানায় এক ছাত্রী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমোহন উপজেলার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ফোন পেয়ে ছুটে যান ওসি মীর খায়রুল কবির। পরে ওসি ও স্থানীয় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ছাত্রী। স্থানীয় ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে।
লালমোহন থানা পুলিশের ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, দুপুরে আমার ফোনে ওই ছাত্রীর কল আসে। ‘ভাইয়া আমাকে বাঁচান’ এমন ডাক পেয়েই ছাত্রীর বাড়িতে ছুটে যাই। পরে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে ছাত্রীর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলি। অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় মেয়েকে বিয়ে না দিতে বাবা-মাকে সতর্ক করা হয়।
ওসি আরও বলেন, ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার পড়ালেখায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ ওই ছাত্রীর বাবা গরিব মানুষ। ছাত্রীকে পড়ালেখায় সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
সূত্রঃ জাগোনিউজ