হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে প্রাক্তন এক প্রেমিককে শক্তভাবে ফাঁসাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে এক নারী।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে তসলিমা সুলতানা সানি (২৩) নামের ওই নারী মূখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে এসিড নিক্ষেপের নাটক মঞ্চস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়।
কিন্তু এই নারীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ও উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত দশটায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা রটার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সার্বিক দিকনির্দেশনায় রাত তিনটা পর্যন্ত দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ রহস্য উন্মোচন করেন।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- তুলাতলী গ্রামের তাসলিমার সঙ্গে রূপনগর গ্রামের সেলিম মিয়ার সঙ্গে আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে সেলিম মিয়াকে মামলায় জড়ানো হয়। মূলত পূর্বশত্রুতার জের ধরে সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সাঁজাতে চেয়েছিলো তসলিমা। আমরা তা ভন্ডুল করে দিয়েছি। তসলিমার প্রতিবেশী জান্নাতুল বকেয়া নিজেই স্বীকার করেছে যে- মরিচের গুড়া তসলিমার মুখে মাখা হয়েছে। এ কারণে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে যেতে হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকও জানিয়েছেন এসিডের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তসলিমার ঘর থেকে পানির সঙ্গে মরিচের গুড়া মেশানো বদনা আলামত হিসাবে উদ্ধার করা হয়েছে।