সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান হাসপাতাল পাড়া এলাকায় একটি বসত বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় মমতাজ আহমদের ছেলে মো. ইউনুচ এর বাড়িতে এ অগ্নিকান্ড ঘটে। অগ্নিকান্ডে রান্নাঘর পুরোপুরি এবং বসত বাড়ি আংশিক ভষ্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গৃহকর্তা মো. ইউনুচ জানান, ২২ দিনের ব্যবধানে এ বাড়িতে দুবার রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো। এরআগে গত ১৪ নভেম্বর রাতে বাড়ির রান্না ঘরে অগ্নিকান্ড ঘটে। ওইসময় আশপাশের লোকজন প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও রান্নাঘর আংশিক পুড়ে যায়। এ ঘটনার ২২ দিন পর একইভাবে আবারো অগ্নিকান্ডে রান্না ঘর ও থাকার ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ অগ্নিকান্ড নিশ্চিত শত্রুতা বলে মনে করছেন তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরো জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের চাল থেকে হঠাৎ জ¦লন্ত কাঠের টুকরো গায়ের উপর পড়লে তিনি আহত হন। তবে এসময় পাড়া প্রতিবেশী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। অগ্নিকান্ডে রান্না ঘরটি পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং বসত বাড়িও আংশিক পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স অগ্নিকান্ডস্থল দেখতে যান।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। এটি শত্রুতামূলক কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। এ ধরনের কোন প্রমান দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী জানান, পরপর দুবার এ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর বাড়ির অক্ষত অংশে মুবিল ও তৈল জাতীয় পদার্থ দেখা গেছে। তাদের মত এটি নিশ্চিত শত্রæতা। আগুন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে ওই বাড়িটিতে থাকা শিশুসহ পরিবারের ৮ জন সদস্যের প্রাণহানির আশংকা ছিলো। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে অগ্নিকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।