অনলাইন ডেস্কঃ
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) আদেশ বা রায়ের পর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আইসিজেতে গাম্বিয়া কেন মামলা করল, বাংলাদেশ কেন করল না? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আইসিজের এখতিয়ার যেটা, মিয়ানমারে যে ঘটনা (হত্যাকাণ্ড) ঘটেছে সেটা নিয়ে বিচার করা, দেখবেন এবং দুপক্ষ শুনবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ করতে পারত নাকি পারত না এ মুহূর্তে এ আলোচনা যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’ আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাখাইন রাজ্যে যে নৃশংসতা হয়েছে সারা বিশ্ব তা গভীরভাবে অনুধাবনে প্রচার করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আইসিজের রায় কোনো প্রভাব বিস্তার করবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস যে রায় দেবে, তার ওপর নির্ভর করবে যে আমরা কী ফল পাব? আজ এ ফল সম্পর্কে বলা হবে প্রি-ম্যাচিউরড। আইসিজের আদেশ বা রায়ের জন্য ধৈর্য ধরা উচিত। রায় বা আদেশ পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে আলোচনায় যাওয়া উচিত।’
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু প্রতিবেশী এবং জাতির পিতার অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী চেষ্টা করব আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে।’
উল্লেখ্য, পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদে মুসলিম দেশ গাম্বিয়া ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদের উৎসাহে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা দায়েরের মাধ্যমে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলে। এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দফায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে হেগের এ আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে বুধবার দ্বিতীয় দিনের এবং বৃহস্পতিবার শেষদিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রঃ জাগোনিউজ