লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ ঠিক কী, তা এখনো প্রমাণিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কোনো খাবার, অভ্যাস বা কাজের প্রভাব আছে- এমনটা এখনও প্রমাণ হয়নি। ক্যান্সারের নানা কারণ থাকতে পারে। জিনগত এবং পরিবেশের মিশেলেও ক্যান্সার হতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর বিজ্ঞানীরা ক্যান্র্ গবেষণার ক্ষেত্রে সেগুলোকেই নিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন যেগুলি থেকে প্রবণতা বাড়তে পারে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের একটি গবেষণায় সম্প্রতি সামনে এসেছে, পারমানেন্ট হেয়ার ডাই নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্যানসারের এই রিপোর্টের দাবি, পারমানেন্ট হেয়ার ডাই নারীদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ৯ শতাংশ বাড়িয়ে তোলে।
বিশেষ করে, আফ্রিকা ও আমেরিকার নারীদের উদাহরণ টেনে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা দাবি করেছেন, নারীরা প্রতি ৫ থেকে ৮ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় পর পর পারমানেন্ট হেয়ার ডাই করালে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়।
তবে সেমি পারমানেন্ট বা টেমপোরারি ডাই কখনোই এর মধ্যে পড়ে না। এগুলো ব্যবহারে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়বে না। গায়ের রং কালো হলে পারমানেন্ট হেয়ার ডাই-এ ৬০ শতাংশ ক্যান্রে্র ঝুঁকি বাড়ে। গায়ের রং ফর্সাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়বে ৮ শতাংশ।
পারমানেন্ট ডাই-এ ব্যবহারকারী কেমিক্যাল কি একেবারেই নিষিদ্ধ করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু না বললেও, এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, যারা প্রতি ৫ থেকে ৮ সপ্তাহে চুল স্ট্রেট করান তাদেরও ৩০ শতাংশ বেশি স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা রয়েছে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাদের চামড়ার রং বাদামি হলে সেক্ষেত্রে নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি পুরোপুরি মুক্ত বলা যাচ্ছে না। এধরনের কেমিক্যাল থেকে নিজেদের শরীরকে মুক্ত রাখাই ভালো।
সূত্রঃ জাগোনিউজ