সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামুর খুনিয়াপালংয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের গোয়ালিয়াপালং টাইংগ্যাকাটা এলাকায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশিদা বেগম (১৪) ওই এলাকার মো. হোসেনের মেয়ে। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মুফিজুর রহমান (১৬) একই এলাকার মো. হোছাইনের ছেলে। তারা (হতাহত দুজন) সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন বলে জানা গেছে।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানিয়েছেন, উভয়ের মধ্যে হয়তো কোন বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে যুবক মুফিজুর রহমান জোরপূর্বক খোরশিদা বেগমের গলায় ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্ষক্ষণের ফলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় খোরশিদা আকতার। খোরশিদাকে ছুরিকাঘাত করার পর মুফিজুর রহমান বাড়ির আঙিনায় এসে নিজের দেহের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত মুফিজুর রহমানের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য নিহত খোরশিদা বেগম স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে এবং তাকে হত্যায় অভিযুক্ত মুফিজুর রহমান গোয়ালিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। রামু থানা পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, হত্যার কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। নিহত ছাত্রীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।