সোয়েব সাঈদ, রামুুঃ
রামুতে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাতটায় রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা টেইলাপাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪০) পেশায় মুদি দোকানদার। তিনি ওই এলাকার মৃত বাদশা আলমের ছেলে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী হাসিনা আকতার জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী দোকানের পাশে হাঁটাহাটি করছিলেন। এসময় মৃত বাদশা আলমের ছেলে মকবুল আহমদ পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীর আলমের পেটের উপরে ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি প্রাণ হারান।
হাসিনা আকতার আরো জানান, মকবুল আহমদের সাথে সম্প্রতি জমি নিয়ে তার স্বামীর বিরোধ চলছিলো। এনিয়ে এক সপ্তাহ পূর্বে মকবুল আহমদ তার স্বামীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেন। কেবল মামলা দিয়ে তিনি ক্ষান্ত হননি। সর্বশেষ তাঁর স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যাও করলো। ৩ সন্তানের জননী হাসিনা আকতার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ জানিয়েছেন, নিহত জাহাঙ্গীর ও ঘাতক মকবুল আহমদ দুজনই আপন সহোদর। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আরো কতিপয় দূষ্কৃতিকারিও জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জানার জন্য হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মকবুল আহমদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হয়। কিন্তু সংযোগ বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আগেরদিন (১৭ ডিসেম্বর) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নে যুবকের ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে খুন স্কুল ছাত্রী খোরশিদা বেগম। এ নিয়ে রামু উপজেলা দু’দিনে দুটি মর্মান্তিক হত্যাকান্ড সংগঠিত হলো।