অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠিত নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভানেত্রী এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “আমরা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সব সময় সহযোগিতা করি, স্বাগত জানাই এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যেহেতু নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হয়েছে, আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতৃত্বের কাছে আশা রেখে তিনি বলেন, “আমরা আশা করবো, এই নতুন কার্যকরি পরিষদ তাদের অতীতের অপকর্মগুলোকে ভুলে গিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করবার জন্য অতিদ্রুত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যে নির্বাচনটি একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচাললায় অনুষ্ঠিত হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেবেন।”
স্বাধীনতা সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা স্মরণের পাশাপাশি দলটির সমালোচনাও করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি পুরনো ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল এবং নিঃসন্দেহে এই জাতি গঠনে, জাতির স্বাধীনতা লাভে এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য অতীতে অনেক গৌরবময় অধ্যায় তাদের রয়েছে।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দলটির হাতেই বার বার গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তারা একবার বাকশাল করেছিল, আবার এই এক দশক ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সব কাজ সমাপ্ত করেছে।”
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফখরুল।
স্কাইপেতে যুক্ত হয়ে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ বিডিনিউজ