সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর রাতে একটি ট্রাক ৪টি দোকান পাট ও ৪টি বসত ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। এতে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান বাজার সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রবেশ মুখে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মৃত উলা মিয়ার স্ত্রী নুর নাহার, ছেলে রাজু, মমতাজ আহমদের স্ত্রী মমতাজ বেগম। এতে মধ্যে নুর নাহারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, গাড়িটিতে থাকা চালক সহ ৩ জনই মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তাদের কাছে মাদক সেবনের সরঞ্জামও পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে ইফসান খানের মালিকানাধিন সংবাদপত্র এজেন্ট, মুদি ও চায়ের দোকান ছিলো।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বসত বাড়ির মালিক ওই এলাকার সহকারি কাজী মো. জাকের হোসেন জানান, গভীর রাতে রেলওয়ের কাজে নিয়োজিত একটি ট্রাক (চট্টমেট্রো:১১-৯১৪৭) আকস্মিকভাবে সড়ক থেকে প্রায় ৬০ ফুট দূরত্বে তাদের দোকান ও বসত ঘরে হামলে পড়ে। এসময় দোকানসমূহে কোন ব্যক্তি না থাকায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আশপাশে ক্ষতিগ্রস্ত বসত বাড়ির ৩ জন আহত হন।
তুলাতলী হাইওয়ে ও রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স সোমবার দুপুরে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এরআগে সকালে হাইওয়ে পুলিশ দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। তাদের দাবি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও বসত ঘরের মালিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিলেই ট্রাকটি নিতে দেয়া হবে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সংবাদপত্র এজেন্ট ইফসান খান জানান, তার দোকানে থাকা হকারদের সাইকেল সহ বিপুল মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুদি দোকানদার মনজুর আলম ও সুমন জানান, তারা হতদরিদ্র। ক্ষুদ্র পূজি দিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তাই একমাত্র সহায় হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তারা এ ঘটনায় ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।