অনলাইন ডেস্কঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় আলোচিত সাঁওতাল হত্যা ও অগ্নিসংযোগ মামলার নারাজি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজ্ঞ আদালত নারাজি পিটিশন গ্রহণ করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে তৃতীয় দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ সিরাজী, গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, অ্যাডভোকেট মুরাদজামান রব্বানী, অ্যাডভোকেট শাহ নেওয়াজ, অ্যাডভোকেট ফারুক কবীর ও গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী ফয়জুল আলম রনন প্রমুখ।
দীর্ঘ সময় নিয়ে আদালতের শুনানি ও নির্দেশনার পর বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর প্রশাসনের সহযোগিতায় গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে সন্ত্রাসী হামালা চালিয়ে তিনজন নিরীহ সাঁওতালকে হত্যাসহ তাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। তখন সাঁওতালদের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়া হয়।
কিন্তু পিবিআই প্রভাবিত হয়ে তদন্ত শেষে মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, কাটাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক এবং অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজন পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন আসামির নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করে। এতে আমরা বিস্মিত হই এবং রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে মূল আসামি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ বাদ পড়া ১১ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নারাজি পিটিশন করি। বিজ্ঞ আদালত নারাজি পিটিশনের ওপর তিন দফা শুনানি শেষে সোমবার গ্রহণ করে মামলাটি পুনরা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতায় সাঁওতাল পল্লীর জমি নিজেদের দাবি করে হামলা চালায়। এতে তিনজন সাঁওতাল নিহতসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এছাড়াও অগ্নিসংযোগের ফলে গোটা সাঁওতাল পল্লী পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সূত্রঃ জাগোনিউজ