আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে (এনআরসি) কেন্দ্র করে গোটা ভারতে আগুন জ্বলছে। তারই প্রেক্ষিতে মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ভারত জুড়ে এখনই এনআরসি করা হচ্ছে না। আর এ নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘যেহেতু এটা (এনআরসি) নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদিই সঠিক কথা বলেছেন, মন্ত্রিসভা বা সংসদ, কোথাও এটা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে আমি জানাতে চাই, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এনআরসি নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা হয়নি। শুধু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আসামে এনআরসি করা হয়েছে।’ তবে অমিত শাহ এতদিন প্রকাশ্যে এনআরসি নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছেন, ‘এনআরসি নিয়ে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নেতারা বলেছেন, দেশজুড়ে অনেক খরচ করে এনআরসি করা হবে। তবে আমি আপনাদের বলতে চাই, যা হওয়া নয়, কেনো তার পেছনে আপনারা আপনাদের মানসিক শক্তি নষ্ট করছেন?’
এনআরসি ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের (এনপিআর) মধ্যে কোনো সংযোগ নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘আমি আজ এটা পরিষ্কার করতে জানাতে চাই, জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প তৈরি করা হয় আর এনআরসির মাধ্যমে বোঝা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশের নাগরিক কিনা।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) দুটি আলাদা বিষয়। এ নিয়ে কোনো নাগরিকের মনে বিন্দুমাত্র ভয় থাকার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে সংখ্যালঘু আমাদের মুসলিম ভাইদের আমি এ আহ্বান জানাবো তারা যেনো ভয় না পায়। কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে, যদিও তাদের তা করা উচিত নয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধার জন্য জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন করা হয়। যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা গরীব মানুষের ক্ষতি করছে।’ আজ মঙ্গলবার বৈঠক শেষে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) হালনাগাদ করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এনপিআর আর এনআরসির মধ্যে মিল রয়েছে বলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ইতোমধ্যে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার। অমিত শাহ বলেন, ‘আমি কথা বলে তাদেরকে জানাবো, যেনো এটা নিয়ে কোনো রাজনীতি না হয়।’
সূত্রঃ জাগোনিউজ