লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে ঠান্ডাজনিত অসুখ-বিসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই ঠান্ডা-কাশি, জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ গলা ব্যথা, টনসিলের সমস্যাতেও ভূগছেন। সাধারণত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোই টনসিলের সংক্রমণ বাড়ায়। এ সময় টনসিলের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. গলা ব্যথা শুরু হলে অনেকেই হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করে। এটি টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয়, গরম পানি ও লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যায়।
২. দেড় কাপ পানিতে আধা চামচ গ্রিন টিয়ের পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ বার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। গ্রিন টি’তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ পরিমাণে এ মধু-চা পান করলে উপকার পাবেন।
৩. দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর চা পাতা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এটি পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। আদায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাঁধা দেয়। সেই সঙ্গে গলা ব্যথাও কমায়।
৪. এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। অবশ্য গরুর দুধেও সামান্য হলুদ মিশিয়ে গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া হলুদে থাকা অ্যান্টিইনফ্লামেটরী, অ্যান্টিব্যায়টিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
৫. ২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ পানিতে এক চামচ পাতিলেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলা ব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এ মিশ্রণটি সেবন করলে উপকার পাবেন। সূত্র : জি নিউজ
সূত্রঃ সমকাল