অনলাইন ডেস্কঃ
শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিকভাবে সমস্যা সমাধান চেষ্টার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ব্লুবেরির হল রুমে ‘দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস : হোয়াই একাউন্টিবিলিটি?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক এবং সিজিএস পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহিদুল হক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডাচ উপ রাষ্ট্রদূত জেরোনি স্টিগস, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে যৌথ টাস্কফোর্সের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার হোসেন এবং সাবেক বর্তমান কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা।
পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছিল যে কিছু একটা হচ্ছে। আর রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি বৈশ্বিক সঙ্কট হতে যাচ্ছে। ফলে শুধু দ্বিপাক্ষিক ভাবেই নয় বহুপাক্ষিকভাবেও এ সমস্যাকে সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি, এ ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও পরিষ্কার হওয়া শুরু করলো যখন সেখান থেকে জীবন বাঁচানের উদ্দেশ্যে ৮৫ হাজার মানুষ চলে আসলো। শুরুতে বিষয়টিকে আমরা দেখেছি মানবিক দৃষ্টিকোণে। আর এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুতই বোঝা গেছে যে বিষয়টি শুধু মানবিক পর্যায়ের মধ্যে নেই, এটি বড় ধরনের মানবাধিকার সঙ্কট হিসেবে দাড়াঁতে যাচ্ছে।
শহিদুল হক আরও বলেন, কোনো কোনো মানবিক সহায়তাকারি সংস্থা মানবাধিকার সঙ্কটের জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কারণ যখনই তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলবে, তারা দুই দেশের কাজ করার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। বাংলাদেশে থাকা জাতিসংঘও মনে করে যতক্ষণ মানবিক সহযোগিতার কার্যক্রম চালবে ততক্ষণ বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। তবে যখন মানবাধিকার ইস্যু বা জবাবদিহিতার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে তখন বাংলাদেশের পাশে হয়তোবা থাকতে পারবে না জাতিসংঘ।
সূত্রঃ জাগোনিউজ