নিজস্ব প্রতিবেদক (হাফিজ) :
সঠিক পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা থাকলে যে সাফল্য পাওয়া যায়, তা প্রমাণ করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ২০১৯ সালে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় বৃহত্তর গর্জনিয়ায় (গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড় ইউনিয়ন) সেরা ফলাফল করা বিদ্যালয়টি রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের আমির মোহাম্মদ চৌধুরী বাচ্চু চত্তর (বটতল) এলাকায়। এর নাম পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুধু নামে নয়, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাস্তবেও সব দিক থেকে এই বিদ্যালয়টি মডেলে রূপান্তর হতে চলেছে।
ফলাফলে চমক :
২০১৯ সালে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সাতজন। জিপিএ-৪ পেয়েছে ২৪জন। পাশাপাশি শতভাগ পাস। গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা এবং জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পোয়াংগেরখিলের পরের অবস্থানে রয়েছে।
সাফল্যের নেপথ্যে :
এই সাফল্য কীভাবে পেলেন, এই প্রশ্নের জবাবে পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেনজির রশীদ বলেন, ‘বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই সাফল্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আছে পাঠদানে শিক্ষকদের পূর্বপ্রস্তুতি, পাঠদানের সময় শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার, হাস্যরস ও খেলার ছলে পাঠদান শেষে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে আরও আন্তরিকভাবে পাঠদান, ছুটির আগে–পরে অতিরিক্ত পাঠদান, প্রতিটি অধ্যায় শেষে এবং সাপ্তাহিক-মাসিক পরীক্ষার কারণে ফলাফলে সাফল্য এসেছে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাসির মুগ্ধ বলেন, ‘ক্লাসে স্যারেরা যেভাবে পড়ায়, যত খোঁজ নেয়, সেটা বাবা-মাও নেয় না। বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের বাড়িতেও যায়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার ধর বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেরা ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র দে বলেন, পোয়াংগেরখিলের ফলাফলে আমার অনেক সন্তুষ্ট।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনা, একাগ্রতা, সদিচ্ছা, তদারকি ও পেশাদারত্ব থাকলেই যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করা যায়। সেরা হওয়ার পেছনে শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের অবদান রয়েছে।’