দর্পণ বড়ুয়াঃ
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও সার্থক করার লক্ষে রামু স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যেগে ৬ জানুয়ারী সোমবার অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ নোবেল কুমার বড়ুয়া। তিনি বলেন ‘ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায়। তিনি আরো বলেন, জাতীয় কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নে নবীন স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে প্রবীনদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ সৌমেন বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য শুধু শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নয় বরং শিশুর দেহে ভিটামিন এ’র প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করাই এর অন্যতম লক্ষ্য।’
অন্যান্যদরে মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহাং আলম, স্যানিটরী ইন্সপেক্টর মাহতাব উদ্দীন, এমটিইপিআই আলী আকবর, সহঃ স্বাস্থ্য পরিদর্শক দর্পন বড়ুয়া, দুলাল বড়ুয়া, স্বপন ভট্টাচার্য, বাবুল শর্মা, পংকজ শর্মা, স্বাস্থ্যসহকারী এনামুল হক, সৈকত বড়ুয়া প্রমুখ।
সঞ্চালক ছিলেন কম্পিউটার অপারেটর দীপংকর বড়ুয়া ধীমান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন এম সি এইচ প্রসেনজিত বড়ুয়া।
উক্ত সভায় ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে জন্মের পরপর (এক ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে প্রচারাভিযান চালানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১১ জানুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে একযোগে পালিত হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওদিন ৬ মাস থেকে ১১মাস (নীল ভিটামিন) ১২মাস থেকে ৫৯ মাস (লাল ভিটামিন) বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মারাত্মক অসুস্থ কিংবা ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ খাওয়া শিশু ছাড়া ৬মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী যে কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবে। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে।