সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
কক্সবাজারের রামুতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, রামু থানার ওসি (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌনম বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজ, রামু পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাং সাদিকুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌরচন্দ্র দে, রামু সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধান, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, এমটিইপিআই আলী আকবর, সহ: স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছড়াকার দর্পণ বড়ুয়া, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার সাইফুদ্দিন খালেদ, রামু সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার খন্দকার দেলওয়ার হোসেন, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, জোয়ারিয়ানালা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মেম্বার, রামু থানার এসআই মন্টু কুমার দাশ, সাংবাদিক আল মাহমুদ ভুট্টো, হাবিবুর রহমান সোহেল, পুরোহিত সজল ব্রাহ্মণ চৌধুরী, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মাহফুজা রুমা, কেয়ার বাংলাদেশের সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। সভার সঞ্চালনা করেন রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পিউটার অপারেটর দীপংকর বড়ুয়া ধীমান।
সভায় জানানো হয় আগামী ১১ জানুয়ারী, শনিবার সারাদেশের ন্যায় রামুতেও একযোগে পালিত হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওই দিন ৬ মাস থেকে ১১মাস (নীল ভিটামিন) ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস (লাল ভিটামিন) বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মারাত্মক অসুস্থ কিংবা ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ খাওয়া শিশু ছাড়া ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী যে কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবে। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে।