অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কর্মসূচির উদ্বোধন নিয়ে কক্সবাজার সৈকত তীরে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। এ উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) কক্সবাজারের সব আবাসিক হোটেলে ২৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ক্ষণগণনার উদ্বোধনীতে কক্সবাজারে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকছে। বেলা ১১টায় শহরের লাবণী পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ১০০টি দুর্লভ ছবি নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী করবে জেলা প্রশাসন। বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার, এরপর ১০০টি বেলুন উড্ডয়ন ও ১০০টি কবুতর অবমুক্তকরণ। সন্ধ্যা ৬টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবশেষে রাত ৯টায় সৈকতের আকাশে ১০০টি ফানুস ওড়ানো হবে। জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে পুরো অনুষ্ঠান লাইভ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সৈকতের বালিয়াড়িতে লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ক্ষণগণনাযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ জানুয়ারি তেজগাঁওস্থ পুরাতন বিমান বন্দরে ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা সদর ছাড়াও উপজেলাসমূহেও ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, একেকজনের একেক রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিয়ে কোনো বিতর্ক-মতভেদ থাকার কথা নয়। তিনি না হলে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু এখন বিশ্ববন্ধু। তাকে শ্রদ্ধা করা সবার উচিত। তাই কর্মসূচি সফল করতে তিনি জেলাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ