লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শরীরচর্চা উপকারিতা অগনিত। সম্প্রতি যোগ হল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা।
নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে অবসর সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরীরচর্চার মাধ্যমে সাত ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব বলে দাবি করছেন গবেষকরা। সাড়ে সাত লাখ মানুষের অংশগ্রহণে নয়টি ‘ট্রায়াল’য়ের মাধ্যমে এই গবেষণাটি করা হয়। সাত ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে কয়েক ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গে শরীরচর্চা ‘ডোজ/রেসপন্স’-জাতীয় সম্পর্কও খুঁজে পান গবেষকরা।
এই গবেষণা করেছেন ‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র ‘হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’য়ের গবেষকরা। ‘ক্লিনিকাল অনকোলজি’ শীর্ষক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
অল্পা পাটেল, আমেরিকারন ক্যান্সার সোসাইটি’য়ের ‘এপিডেমিওলজি’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক বলেন, “শারীরিক পরিশ্রমের বিধিনিষেধ অনেকাংশেই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ক্ষেত্রে এর প্রভাবের ওপর নির্ভরশীল।
এই বিধিনিষেধে বলা ছিল, সপ্তাহে প্রতিদিন আড়াই থেকে পাঁচ ঘণ্টা মৃদু থেকে ভারি শরীরচর্চা অথবা দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা ভারী শরীরচর্চাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, বিধিনিষেধ মোতাবেক প্রতি সপ্তাহে মোট সাড়ে সাত থেকে ১৫ ঘণ্টা শরীরচর্চা ১৫ ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে সাত ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। শরীরচর্চার মাত্রা বাড়ালে উপকারের মাত্রাও বাড়ে।
পুরুষের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ঘণ্টা শরীরচর্চার মাধ্যমে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৮ শতাংশ, আর ১৫ ঘণ্টা শরীরচর্চায় ঝুঁকি কমেছে ১৫ শতাংশ। একইভাবে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে ছয় থেকে ১০ শতাংশ, ‘এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার ১০ থেকে ১৮ শতাংশ, বৃক্কে ক্যান্সার ১১ থেকে ১৭ শতাংশ, ‘মায়লোমা’ ক্যান্সার ১৪ থেকে ১৯ শতাংশ, যকৃতের ক্যান্সার ১৮ থেকে ২৭ শতাংশ এবং ‘নন-হজকিন লিম্ফোমা’র ঝুঁকি নারীদের ক্ষেত্রে কমে ১১ থেকে ১৮ শতাংশ।
পাটেল বলেন, “এই তথ্য থেকে বোঝা যায় শরীরচর্চার এই বিধিনিষেধ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ