আমাদের রামু ডটকমঃ
কক্সবাজারের রামু-মরিচ্যা সড়কের মেরংলোয়ার পুরানো লম্বা ব্রিজের রেলিং ভেঙে সাব্বির এন্টারপ্রাইজের একটি পর্যটকবাহী বাস খাদে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতরা হলেন- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার শাহাজাহানের ছেলে আবির (২১), নাছির উদ্দীনের ছেলে আতিক (২২), আবু বশরের ছেলে মোছাদ্দেক (২২), নুরুল আমিনের ছেলে সোহান (২২), রফি উদ্দীনের ছেলে ইউনুচ (২৪), মোস্তফা গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৬), হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ (২৫), মশরফ হুসাইনের ছেলে আবু মুছা (২৭), জাকির হুসাইনের ছেলে মন্জুরুল হুসাইন সাকিব (১৯), আব্দুল জাব্বার মৃধার ছেলে মেহেদী হুসাইন, কবিরের ছেলে নয়ন, মোতাহের সিকদারের ছেলে নাঈম হুসাইন (২২), আলতাফ হুসাইনের ছেলে ফয়সাল (২০), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোশরফ হুসাইন(২৫), বাচ্ছুর ছেলে সাইফুল ইসলাম বাপ্পি (৩০), শাহা জমালের ছেলে নিজাম (২৬), আশরাফ আলীর ছেলে হাসিব (১৯), আব্দুল মান্নানের ছেলে সজল (২৬), জাকির হুসাইন খানের ছেলে নজরুল হক সাকিব (১৯), নাহিদের মেয়ে রহিমা (২৬), শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিক (২৪), বেলাল হোছাইনের ছেলে মোহাম্মদ (২৬), আব্দুর শুকুরের ছেলে গফুর (২৫), শ্রীনগর এলাকার মোছাদ্দেকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), শরীয়তপুরের আসাদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (২৫), বরিশালের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোনাফ হুসেন সাঈদ (২৫), বরগুনা আমতলী এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ ইসলাম, মোতাহের হোসাইনের ছেলে জিয়াউল করিম, ঢাকার আলতাফ হোসাইনের ছেলে নাজমুল হুসাইন (২৫), নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল (২৭), বরগুনা, সদরের খলিলুল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৬), কুমিল্লার সুলতানপুর এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহিম (২৭), পটুয়াখালীর আবু তৈয়ব সিকদারের ছেলে রাজিব (২৭), যশোরের মশরফ হোসেনের ছেলে বকতিয়ার (২৫) এবং ঢাকার মির্জাপুর এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে নোমান (২৭)।
ওই বাসের যাত্রী আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান জানান, ঢাকাস্থ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্ট ওয়েব দুটি বাস নিয়ে ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাচ্ছিল। তারা সবাই মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী।
তিনি আরও জানান, বাসের যাত্রীরা ভোরে ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের যাত্রীরা সবাই আহত হন। খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রামু হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এসে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসটি নিজেদের কব্জায় নেন। উদ্ধারকারীরা বাসটি তুলতে সহযোগিতা করেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও যোগ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আল মাহমুদ ভুট্টো জানান, রামু-মরিচ্যা সড়কটি টেকনাফের সঙ্গে সংযোগের পুরোনো সড়ক। বাসের চালক অনেক বছর আগে টেকনাফ যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করেছিলেন। আজও লিংকরোড নতুন মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে ভুল করে পুরাতন রামু আরকান সড়কের ভেতরে চলে আসে। নড়বড়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি নিচে পড়ে যায়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়ালিউর রহমান ও ডা. অনিক বড়ুয়া জানান, ভোর ৬টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।